UG CC-HI-10 SAMPL NOTE

MM INSTITUTION

👇DOWNLOAD UG SAMPLENOTE (CC-HI-10) 👇

১. মুঘল আমলে ভারতের বিভিন্ন শিল্প সম্পর্কে এক সংক্ষিপ্ত নিবন্ধ লিখুন।

• মুঘল যুগে ভারতের কৃষি নির্ভর শিল্প :

মুঘল যুগে বিভিন্ন দ্রব্য রপ্তানির ফলে ভারতে প্রচুর অর্থাগম হত । বিদেশ থেকে আমদানি করার মতো বিশেষ কিছু ছিল না । ফলে বিদেশের বহু মূল্যবান ধনরত্ন ভারতে এসে জমা হত । এই অবস্থা থেকে অনেকে মনে করেন যে, ভারত তখন শিল্পে খুব অগ্রগণ্য ছিল । আধুনিক ঐতিহাসিকগণ এই বক্তব্যের সঙ্গে ভিন্ন মত পোষণ করেন । এঁদের মতে, ভারতে উৎপাদন ব্যবস্থা ছিল সাবেকি ধরনের । প্রযুক্তি বিদ্যা ছিল মান্ধাতা আমলের । এই বিষয়ে ভারত তখন চিন বা ইংল্যান্ডের থেকে অনেক পিছিয়ে ছিল । খনিজ দ্রব্য ব্যবহারের পদ্ধতিও ভারতীয়দের অজানা ছিল । শিল্প উৎপাদন বাড়েনি । বরং তা এক জায়গায় স্থিতিশীল হয়ে গিয়েছিল ।

মুঘল আমলে গ্রামীন অর্থনীতির মূল ভিত্তি ছিল কৃষি ও হস্তশিল্প বা কুঠির শিল্প । কুঠির শিল্পকে দুই ভাগে ভাগ করে আলোচনা করা যেতে পারে । প্রথমত, কৃষিনির্ভর শিল্প এবং দ্বিতীয়ত অকৃষি শিল্প ।

                ● কৃষিনির্ভর শিল্প (Agriculture based Industry) : কৃষিনির্ভর শিল্পের মধ্যে পড়বে শর্করা শিল্প, তৈল, তামাক, নীল, মদ প্রভৃতি শিল্প ।

(১) আখ ও তালের রস থেকে বিভিন্ন ধরনের চিনি তৈরি হত । আবুল ফজল পাঁচ রকম চিনির কথা বলেছেন । চিনি শিল্পের প্রধান কেন্দ্রস্থল ছিল বাংলা, আগ্রা ও লাহোরের মধ্যবর্তী এলাকা এবং গোলকুণ্ডা । আরব, মেসোপটেমিয়া ও পারস্যে চিনি রপ্তানি হত ।

(২) বলদের সাহায্যে তৈলবীজ পাথরে পিসে তেল তৈরি হত । সিন্ধু, গুজরাট, গোলকুণ্ডা, মহীশূর, ওড়িশা ও বাংলায় এই পদ্ধতি প্রচলিত ছিল । রপ্তানির উদ্দেশ্যে মেদিনীপুরে এক ধরনের গন্ধ তেল তৈরি হত ।

(৩) তামাক শিল্পের কেন্দ্র ছিল বুরহানপুর, বেরার, করমণ্ডল উপকূল, বাংলা ও বিহার ।

(৪) পোস্ত গাছের ফুল থেকে আফিম তৈরি হত । মালব, বেরার, খান্দেশ, বারাণসী, বিহার, বাংলা এবং রাজপুতনায় আফিম চাষ হত । শুধু মাদক দ্রব্য হিসাবে ও ওষুধ হিসাবে আফিম -এর ব্যবহার প্রচলিত ছিল । দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, চিন, পারস্য, এবং আরবে আফিম রপ্তানি করা হত ।

(৫) কাপড় রং ও উজ্জ্বল করতে আগ্রা, মসুলিপত্তম, ঢাকা, কাশিমবাজার, আমেদাবাদ প্রভৃতি বস্ত্রশিল্পের কেন্দ্রগুলিতে নীলের চাহিদা ছিল ।  ইউরোপের বাজারে নীলের চাহিদা খুব ছিল । ফলে নীলের ব্যবসা ছিল খুবই লাভজনক । নীলের চাষ হত বিয়ানা (আগ্রা), গুজরাত ও গোলকুণ্ডায় । পরে বাংলা ও বিহারে নীলের চাষ ছড়িয়ে পড়েছিল ।

(৬) তাল ও খেজুরের রস থেকে মদ তৈরী হত । ঔরঙ্গজেব ব্যতীত সমস্ত মুঘল সম্রাটই মদ্যপান করতেন । কিন্তু সরকারি ভাবে মদের উৎপাদন নিষিদ্ধ ছিল । কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞা কখনই মানা হত না ।

● বস্ত্রবয়ন শিল্প (Textile Industry) : কৃষিজাত শিল্পের মধ্যে সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল বস্ত্র বয়নশিল্প । প্রায় সারা দেশ জুড়ে বিভিন্ন ধরনের কাপড় তৈরি হত । গুজরাটে পাটন, খান্দেশে বুরহানপুর এবং উত্তর ভারতে জৌনপুর, বারাণসী ও পাটনা ছিল বস্ত্রবয়ন শিল্পের প্রধান কেন্দ্র । বাংলার বস্ত্রশিল্পের খ্যাতি ছিল জগৎজোড়া । ঢাকার মসলিন বস্ত্র ছিল খুব বিখ্যাত । রেশম শিল্পের মূল কেন্দ্র ছিল ক্যাম্বে, সুরাট, আহমদাবাদ, পাটন, চাউল প্রভৃতি গুজরাটের বিভিন্ন শহর, পাটনা, বারাণসী, বাংলা, আগ্রার সন্নিকটে ভীতাপুর, লাহোর প্রভৃতি । পশম বা উলের জন্য বিখ্যাত ছিল কাবুল, কাশ্মীর ও পশ্চিম রাজস্থান । তবে ভারতের পশম খুব একটা উচ্চ মানের ছিল না । আকবরের উৎসাহে কাশ্মীরে শাল শিল্প এবং আগ্রা ও লাহোরে কার্পেট শিল্পের প্রসার ঘটেছিল । শণ ও পাটের তৈরি জিনিসও বহুল ব্যবহৃত হতো । ভারতের প্রায় সর্বত্র শণ উৎপন্ন হতো । বাংলায় হতো পাটের চাষ । পাট দিয়ে দড়ি, বস্তা বা থলে তৈরি হত । কাশিম বাজারের দড়ি ছিল বিখ্যাত ।

■ মুঘল যুগে ভারতের অকৃষি নির্ভর শিল্প

● অকৃষি শিল্প (Non-Agricultural Industry) : অকৃষি শিল্প উৎপাদনের একটা বড় অংশ ছিল বিলাস দ্রব্য । সাধারণ মানুষের চাহিদা কম ছিল । বিলাস দ্রব্য নির্মাণের জন্য সরকারি কারখানা বা কর্মশালা ছিল । তবু তার বেশির ভাগ তৈরি হত স্বাধীন কারিগর ও শিল্পীর বাড়িতে ।

(১) রান্নাবান্না ও ঘর গেরস্থালীর কাজে লোহা ও তামার তৈরি জিনিসপত্র ব্যবহৃত হত । এই সব জিনিস ব্যবহার করত সম্রাট ও অভিজাত শ্রেণির মানুষ । অবশ্য সাধারন মানুষ ধাতুর তৈরি ছোটোখাটো জিনিস ব্যবহার করত । লোহার তৈরি জিনিসের মধ্যে কাটারি ও অস্ত্রশস্ত্রের চাহিদা ছিল ।

(২) কাঠের তৈরি চেয়ার, টেবিল ইত্যাদি আসবাবপত্রের খুব একটা চাহিদা ছিল না । এগুলি মুলত ব্যবহার করত ইউরোপীয় বণিকরা । ঘরবাড়ির কাজে এবং কৃষিকাজের জন্য যন্ত্রপাতি তৈরি করতে কাঠের ব্যবহার হত । জাহাজ, নৌকা ও গাড়ি তৈরির ক্ষেত্রেও কাঠ ব্যবহার করা হত । কাশ্মীর ও গুজরাটের কাঠ ছিল বিখ্যাত । চন্দন কাঠের তৈরি জিনিসের দাম বেশি হত ।

(৩) চামড়া শিল্পের কেন্দ্র ছিল লাহোর ও মুলতান । লাহোরে তৈরি জুতো, ঘোড়ার সাজ ও জিনের খুব খ্যাতি ছিল ।

(৪) মুঘল যুগে তালপাতার বদলে কাগজের ব্যবহার শুরু হয় । লাহোর, অয্যোধ্যা, বিহার প্রভৃতি এলাকায় কাগজ তৈরি হত ।

(৫) সাধারণ মানুষ রান্নার কাজে মাটির তৈরি জিনিস ব্যবহার করতো । দামি মাটির পাত্র ব্যবহার করতো ধনী ব্যক্তিরা ।

(৬) মুঘল আমলে খনিজ শিল্প খুব একটা  উন্নত ছিল না । সোনা, রূপা ও তামার ব্যবহার প্রচলিত ছিল । দাক্ষিণাত্য ও পান্নায় হিরা পাওয়া যেতো । বাংলা ও বিহারেও তখন কিছু হিরা পাওয়া যেত ।

(৭) লবণ তৈরি হতো পাঞ্জাব, আজমির, অয্যোধ্যা, মুলতান, সিন্ধু, কচ্ছের রান, মালাবার, মহীশূর এবং বাংলায় ।

২. মুঘল যুগে বস্ত্র শিল্পের বিকাশ সম্পর্কে একটি টীকা লিখুন।

  ভূমিকা : মুঘল আমলে যেসব শিল্পের যথেষ্ট অগ্রগতি ঘটে, সেগুলির মধ্যে সবার আগে বসুশিল্পের কথা আছে। মুঘল যুগে বস্ত্রশিল্পের অভূতপূর্ব উন্নতি ঘটে। উৎপাদন ও কর্মসংস্থানের ভিত্তিতে এই শিল্প ছিল মুগল যুগের সর্ববৃহৎ শিল্প। এই যুগে সুতিবস্ত্র, তাঁতবস্তু, রেশম বস্ত্র ও পশম বস্ত্রের চাহিদা ছিল তুঙ্গে। অভ্যন্তরীণ বস্ত্রের চাহিদা মেটানোর পর উদ্বৃত্ত বস্ত্র বিদেশে রপ্তানি করা হত। মুঘল যুগে ভারতে কাপড় তৈরির চারটি প্রধান কেন্দ্র ছিল বাংলা, গুজরাট, সিন্ধু উপত্যকা ও দক্ষিণ ভারতের করমন্ডল অঞ্চল।

[1] সুতিবস্তুঃ  মুঘল যুগে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে উৎপাদিত হত সুতিবস্ত্র। এযুগের ঢাকাই মসলিন ছিল জগৎ বিখ্যাত। আগ্রা, বারাণসী, লাহোর, এলাহাবাদ, লক্ষ্ণৌ ও বাংলা ছিল সুতিবস্ত্র উৎপাদনের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এই যুগে মসলিন কাপড় এবং জনসাধারণের পরিধেয় মোটা সুতোর কাপড় উভয়ই তৈরি হত। এছাড়া সুতির পাগড়ি, টুপি, বিছানার কাপড়, তাঁবুর কাপড় ইত্যাদিও তৈরি হত। উড়িষ্যার বালেশ্বরে তৈরি লাল রঙে রঞ্জিত সুতিবস্ত্র। দাক্ষিণাত্যের গোলকুন্ডা, নিজামপত্তম ও মাদ্রাজে তৈরি ছাপা কাপড় সুখ্যাতি অর্জন করেছিল। এই যুগের সুতিবস্ত্র ব্রহ্মদেশ, আরব উপদ্বীপ, মালয় উপদ্বীপ ও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে রপ্তানি করা হত। 

[2] তাঁতবস্ত্রঃ  মুঘল যুগে সিন্ধু উপত্যকার ভট্টা, লাহোর, মুলতান, শিয়ালকোট এবং দাক্ষিণাত্যের করমন্ডল উপকূপ, গোলকুন্ডা ছিল তাঁতশিল্পের প্রধান কেন্দ্র। ঐতিহাসিক মোরল্যান্ড-এর মতে, ভারতে প্রায় 150 রকমের তাঁতবস্ত্র উৎপাদিত হত। এসময় সোনার তার দিয়ে নকশা করা তাঁতবস্ত্র সুখ্যাতি অর্জন করেছিল। আকবরের আমলে তাঁত শিল্পের বিখ্যাত কেন্দ্র ছিল গুজরাট। দাক্ষিণাত্যের ঔরঙ্গাবাদ ও বুরহানপুরে তৈরি শ্বেত তাঁতবস্ত্র খুব বিখ্যাত ছিল। লোহিত ও ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী অঞ্চলে এই বস্ত্রের কদর ছিল। এছাড়া দক্ষিণ করমন্ডল অঞ্চলে তৈরি লাল ও নীল তাঁতবস্ত্রের সুখ্যাতি ছিল। 

[3] রেশম বস্ত্রঃ  মুঘল যুগে রেশম শিল্পের প্রধান কেন্দ্র ছিল বাংলা, গুজরাট, কাশ্মীর, আগ্রা, লাহোর ও ফতেপুর। আবুল ফজলের বর্ণনা থেকে জানা যায়, রেশম শিল্পের উন্নতির জন্য আকবর বিদেশ থেকে কারিগর আনাতেন। এই যুগে রেশম চাষের উন্নতির জন্য বাংলাকে ‘রেশম ভান্ডার’ বলা হত। এসময় রেশম বস্ত্রের ওপর জরির কাজ (নকশা করা) জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। এই যুগে বাংলায় রেশম সুতো বোনার এবং তা সরবরাহের কাজের সঙ্গে যুক্ত লোকজন ‘নকদ’ নামে পরিচিত ছিল। অন্যদিকে, যারা তুঁতগাছের চাষ করত এবং শুঁটিপোকা রক্ষণাবেক্ষণ করত, তাদের ‘চরস’ বলা হত।

[4] পশমের বস্ত্রঃ  এই যুগে পশমের বস্ত্রের চাহিদা ছিল। ভারতীয় পশম উন্নত মানের ছিল না। এজন্য তিব্বত মালভূমি ও হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল থেকে উৎকৃষ্ট মানের পশম আমদানি করা হত। এই সময়ের পশমের বস্ত্র উৎপাদনের প্রধান কেন্দ্র ছিল কাশ্মীর, পাঞ্জাব ও রাজস্থান। আবুল ফজলের বিবরণ থেকে জানা যায়, আকবর তাঁর কারখানায় নানা ধরনের পশমের বস্ত্র, লাল কার্পেট, কম্বল ইত্যাদি তৈরির ব্যবস্থা করেন। এসময় রেশম ও পশমের মিশ্রণে এক ধরনের পোশাক তৈরি হত।

[5] শাল ও গালিচা শিল্পঃ  এই যুগে শাল ও গালিচা শিল্পের বিখ্যাত কেন্দ্র ছিল কাশ্মীর ও লাহোর। সম্রাট জাহাঙ্গীরের পৃষ্ঠপোষকতায় অমৃতসরে শাল ও পশম গালিচা শিল্প স্থাপন করা হয়। এছাড়া গুজরাটে সোনা ও রূপার কাজ করা চামড়ার মাদুর তৈরি হত।

◉ উপসংহারঃ   মুঘল যুগে বস্ত্রবয়ন শিল্পে ভারত স্বনির্ভর ছিল। এই সময় বস্ত্রশিল্পের সঙ্গে রঞ্জন শিল্পেরও উন্নতি ঘটে। সাধারণত আগ্রা ও গুজরাটে উৎপন্ন উৎকৃষ্টমানের নীল দিয়ে সুতিবস্ত্র রঞ্জিত করা হত। আবুল ফজল ‘আইন-ই-আকবরী’ গ্রন্থে বলেছেন, ‘মুঘল যুগে তুলো চাষ ও বস্ত্রবয়ন শিল্প ছিল ভারতের অন্যতম প্রধান শিল্প।”

…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

NSOU তে নিশ্চিন্তে পাস করার উপায়

• Maximum NSOU ছাত্রছাত্রীদের একটাই প্রশ্ন ; একটাই ভয় : “পাশ করবো তো? ”
• হ্যাঁ , অবশ্যই পাশ করবেন । সারাবছর পড়ো নি, তাই নিজেকে দুর্বল ভাবার কিছু নেই। এখনও হাতে অনেক সময় আছে। আমরা তো এক্সাম এর 2 দিন আগে পড়তাম , তাতেই 60% নম্বর এনেছিলাম। সেই সময় নোটস, সাজেশন খুব একটা পাওয়া যেত না।
  
• যেভাবে ভয় দূর করবেন?
• প্রথমত নিজের প্রতি আস্থা রাখুন, নিজেকে আগেই মরার আগে মেরে ফেলছন কেনো? জেনে রাখুন, সাজেস্টেড ওয়েতে সাজেস্টিভলি পড়াশনা করলে পাশ করতে বাধ্য । নোটস পড়ার আগে গত ৫ বছরের প্রশ্নপত্রগুলি ঘেঁটে দেখুন, বুঝে জাবেন ।
• মোবাইল এ  সময় টা সব নষ্ট না করে, সময় গুলো  একটু বই পরে, বা সাজেস্টেড সাজেশনের নোটসগুলো একটু রিডিং করুন, কন্সপেট ক্লিয়ার করুন, নিজেকে তৈরী রাখুন।
•  সিলেবাস সম্পর্কে ধারণা নিয়ে যাবেন ।
• যাদের বই নেই, কিন্তু নোটস আছে, নোটস সাজেশন গুলো, মুখস্ত করতে চেষ্টা করুন, খুব বেশি মুখস্ত না হলে, খাতায় লিখে লিখে পড়ুন, দেখবেন, পরীক্ষাতে কিছু হলেও লিখে আসতে পারবেন।
• শুধু পরলেই হবে না, সাথে মার্ক করুন  কোন কোন পয়েন্ট গুলো, মনে রাখতে হবে।
• এক্সাম হল-এ সবাই নার্ভাস ফিল করেন, এটাই খুব স্বাভাবিক, কেউই বিদ্যাসাগর নয়, ম্যক্সিমাম স্টুডেন্ট ঠিক আপনার মতই নার্ভাস থাকবে, তাই ভয় পাওয়ার কোনো কারন নেই , নিজের প্রতি ভরসা রাখুন আর ফাটিয়ে লিখে আসুন ।
• কোনো প্রশ্নের উত্তর পারবো না বলে ছেড়ে আসবেন না, যেটুকু পারবেন, সেই টুকুই ২-৪ লাইন লিখে আসুন।  মনে রাখবেন ব্ল্যঙ্ক পেজ রেখে আসবেন না।।
• স্যার তো চাইবেন আপনাকে নাম্বর দিতে কিন্তু আপনি কিছু না লিখে আসলে , কিভাবে আপনাকে নাম্বর দেবেন বলুন ? কিন্তু তাই বলে, গরুর রচনা তে নদীর রচনা লিখে এলে নিশ্চয় নম্বর পাবেন না। যে টপিক থাকবে, সেই টপিকি কিছু লিখে আসবেন।

Example > ম্যাকবেথ নিয়ে যেকোনো প্রশ্ন এলে, ম্যাকবেথ এর মূল ভাবটা যা জানেন তাই লিখে আসবেন,

বা ধরুন = সাহিত্য নিয়ে কোনো প্রশ্ন এলে, সেই টপিক অনুযায়ী যা জানেন তাই লিখে আসবেন, মোট কথা কোনো প্রশ্ন একটুও যদি আপনি জেনে থাকেন , খালি রেখে আসবেন না । ফর সিওর পাস আপনি  করবেই করবেন ।

• পরীক্ষার আগে, নিজেকে একটু সময় দিতে হবে, 2 দিন না হলে একদিন, দেখুন সারাজীবন-ই তো কাজ আর কাজ থাকবেই, তার মধ্যে আপনি যদি সময় বের করতে না পারেন, তাহলে তো আফসোস করতেই হবে আপনাকে এক্সাম হল-এ, তাইনা?  সবটা সবার উপর ছেড়ে দিতে নেই। নিজেও একটু পড়তে হবে।
• শেষকথা, প্রস্তুতি নিন, নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখুন, প্রতিদিন সামান্য হলেও পড়ুন, আর  সাজেশন গুলো ভালো করে ফলো করে যান । ফর সিওর পাস আপনি  করবেই করবেন ।

নোটস মুখস্ত করার টিপস

 ১। সম্পূর্ণ অনুচ্ছেদটি বারবার পড়ার উপর জোর দেওয়া:

আমাদের একটি বড্ড বাজে অভ্যাস রয়েছে, আমরা কী পড়লাম তার থেকে কতটুকু সময় পড়েছি তার উপর বেশী জোর দেই। ধরা যাক আজ সকালে উঠে আমি একটানা পাঁচ ঘণ্টা পড়েছি কিন্তু আসলেই কি সম্ভব একটানা পাঁচ ঘন্টা পড়া? টানা পাঁচ কেন দুই ঘণ্টাই মনোযোগ ধরে রাখা কিন্তু চাট্টিখানি কথা না, একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে পাঁচ ঘন্টার মাঝে কতবার আমাদের মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটেছে। হয়তো পড়ার মাঝেই আমাদের ফেসবুকের নোটিফিকেশন চেক করছি, মেইল চেক করছি, কিংবা ইউটিউবে ঢুকে বসে আছি। এভাবে ২-৩ ঘণ্টা পড়ার পর ভাবছি আজ না জানি কত বেশি পড়ে ফেললাম। অথচ এই সময়টুকুতে যতোটুকু পড়া যেতো তা কিন্তু হয় নি।

কোন টপিক শিখতে কত সময় পড়লাম সেটা কখনোই মুখ্য বিষয় নয়, বরং টপিকটি আমি কয়বার ভালোভাবে বুঝে পড়েছি সেটাই মুখ্য বিষয়।

সুতরাং, পড়তে বসার সময় কোন টপিক মুখস্থ করার জন্য কোন নির্ধারিত সময় ফিক্সড না করে বরং টপিকটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত লাইন বাই লাইন কয়েকবার পড়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। একটা দাঁতভাঙ্গা অনুচ্ছেদ প্রথমবার পুরোটা পড়লে যতটুকু কঠিন মনে হবে দ্বিতীয়বার পড়লে তুলনামূলক কম কঠিন মনে হবে। সুতরাং যতবার পুনরায় পড়া হবে ততোটাই সহজ মনে হবে।

২। অনুচ্ছেদটিকে ভেঙ্গে ছোট ছোট ভাগে বিভক্ত করে পয়েন্ট আউট করে ফেলা:

টপিকটি সম্পূর্ণ লাইন বাই লাইন পড়া হয়ে গেলে যে সকল বাক্যগুলো দুর্বোধ্য সেগুলো আন্ডারলাইন করে ফেলতে হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো বের করে নিয়ে আসতে হবে। একেকটি পয়েন্ট একটি শব্দ কিংবা একটি ছোট বাক্যের সমন্বয়ে তৈরি হতে পারে। পয়েন্ট আউট করাটা অবশ্যই বুদ্ধিমত্তার সাথে করতে হবে যেন একবার পড়ার সাথে সাথেই টপিকটির একটি বিশেষ অংশ মাথায় ঘোরা শুরু করে।

৩। মার্কার পেন ব্যবহার করা

কেউ কেউ ঝকঝকে বই ভালবাসেন আবার অনেকেই লাল নীল রঙ্গে বই ফুটিয়ে তোলেন। তবে আমাদের মধ্যে বেশিরভাগই মার্ক করে বা দাগিয়ে পড়তে ভালবাসেন। এটাও পড়া মনে রাখতে বেশ কার্যকর। গুরুত্বপূর্ণ অংশটুকু চিহ্নিত করার ফলে কোন শব্দ বা বাক্যের প্রতি আকর্ষণ ও আগ্রহ বেড়ে যায়। সেই সাথে ঐ অংশটুকুর উপর ব্রেইণের ভিজ্যুয়ালিটি ইফেক্টও বেড়ে যায় যা পড়াকে মনে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা করে।

৪। বেশি বেশি পড়া ও অনুশীলন করা

পড়া মুখস্ত করার জন্য শুধু পড়লেই হবে না, লিখতেও হবে বারবার। মানুষের ব্রেইন ক্ষণস্থায়ী স্মৃতি গুলোকে ঠিক তখনই দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতিতে পরিণত করে যখন সেটা বার বার ইনপুট দেয়া হয়।

একই জিনিস বারবার ইনপুট দেওয়ার ফলে ব্রেইণ তার স্মৃতি গঠনের স্থানে একটি গাঠনিক পরিবর্তন আনে, যা দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি তৈরীতে সাহায্য করে। সুতরাং পড়া মনে রাখার অন্যতম উপায় হলো বেশি বেশি পড়া ও অনুশীলন করা।

৫। পড়ার জন্য সঠিক সময় নির্বাচন

প্রায় অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীর ধারণা সারাদিন-সারারাত পড়লেই পড়া বেশি মনে থাকে। এটা নিতান্তই একটা ভুল ধারণা। এর কারণ হলো সবসময় আমাদের ব্রেইন একইভাবে কাজ করতে সক্ষম হয় না। তবে পড়ার জন্য একটা রুটিন বানানো উচিৎ । 

অবশেষে বলবো পড়াশনাটা আপনাকেই করতে হবে তাই আপনার সময় মতো পড়াশনার রুটিন বানিয়ে পড়াশনা শুরু করুন, সময় খুবই কম । যত তাড়াতাড়ি আপনি পড়াশনা শুরু করবেন তত এগিয়ে থাকবেন।

“মনে রাখবেন “সময় একটি শব্দ মাত্র যেটি চলে গেলে কখনই ফিরে আসে না ।

 And Your Time Start NOW ! ”

…………………………………………………………………………………………………………..

CONTACT // WHATSD APP – 8479091027

message me : https://wa.me/918479091027

EMAIL. malymaity94@gmail.com

CHECK OUT THE PLATFORM:

TO VISIT MY BLOG LINK :https://mminstitution.blogspot.com/​​​​​

👉 👉 Subscribe MY YouTube Channel :- http://www.youtube.com/c/MMINSTITUTIO…

👉 👉 Join 📚 MM INSTITUTION📚 FACEBOOK Group 2️⃣ :-

https://www.facebook.com/groups/20444…

👉👉join my telegram group:

https://t.me/mm_instituti​​​​​

👉👉join my Facebook page:

https://www.facebook.com/nsouhelp