UG CC-HI-01 SAMPL NOTE

MM INSTITUTION

👇DOWNLOAD UG SAMPLENOTE (CC-HI-01) 👇

1. পুরাপ্রস্তর সংস্কৃতির মুখ্য বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।

পুরাপ্রস্তর যুগের সংস্কৃতি :

প্রাচীন প্রস্তর যুগকে প্রধানত তিনটি উপশ্রেণীতে ভাগ করা যায় যথা নিয় পুরাপ্রস্তর, মধ্য পুরাপ্রস্তর এবং এবং উচ্চ পুরাপ্রস্তর। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন এই তিনটি ক্ষেত্রের বিভাজন হয়েছে প্রধানত হাতিয়ারগুলির প্রাচীনতম নিদর্শন ব্যবহারের তারতম্য অনুসারে। অর্থাৎ মানুষের ব্যবহৃত সামগ্রীর সবথেকে বেশি প্রাচীনতম নিদর্শন পাওয়া গেছে নিম্ন পুরাপ্রস্তর যুগে। মাঝারি পর্বটিতে তুলনামূলক কম প্রাচীন এবং উচ্চ পুরাপ্রস্তর যুগে সবচেয়ে কম প্রাচীন হাতিয়ার পাওয়া গেছে। এই যুগের সংস্কৃতি সম্পর্কে সামগ্রিক ধারণা অর্জন করতে হলে আমাদের প্রাচীন প্রস্তর যুগের প্রত্যেকটি বৈশিষ্ট্যগুলিকে খুঁটিয়ে বিশ্লেষণ করতে হবে।

সময়সীমা : ভারত বর্ষের বিভিন্নস্থানে ঠিক কোন কোন সময়কালে পুরাপ্রস্তরযুগ বিদ্যমান ছিল তা নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে যথেষ্ট মত পার্থক্য আছে। ভূতত্ত্ববিদ Bruce Foote সর্বপ্রথম মাদ্রাজে পুরাপ্রস্তর যুগের রূপায়ণ পর্যবেক্ষণ করেন তবে বর্তমান ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে নিম্ন পুরাপ্রস্তর যুগের যে তারিখ গুলি পাওয়া গেছে তা কম সংখ্যক হলেও যথেষ্ট প্রাচীন। পশ্চিম রাজস্থানের দিওয়ানা অঞ্চল – ৩,৯০, ০০০ বছর এবং বেশি; ১,৫০,০০০ বছর পর্যন্ত। সৌরাষ্ট্রে জুনাগড় ও উমরেথি থেকে পায় তারিখ – ১,৯০,০০০ বছর, ৬৯,০০০ বছর। মহারাষ্ট্রে গোদাবরী উপত্যকায় নেভাসা – ৪,০০,০০০ বছর বা কম বেশি। কর্ণাটকে জনসঙ্গি ও বৈচাবল উপত্যকা – ২,৯০, ০০০ বছর, ৩,৫০,০০০ বছর ও ১৭,৪,০০০ বছর। পূর্ব মধ্যপ্রদেশে শোন উপত্যকা গু-না ১,০৩,৮০০ থেকে ১৯,৮০০ বছর নিম্ন পুরাপ্রস্তর যুগের একেবারে শেষ পর্যায়। নিম্ন পুরাপ্রস্তর যুগের নিরূপিত তারিখগুলি বোঝাই যাচ্ছে বিক্ষিপ্ত। মধ্য পুরাপ্রস্তর যুগের নিরূপিত তারিখগুলি সংখ্যায় বেশি। রেডিওকার্বন সমীক্ষা পদ্ধতিতে যে তারিখগুলি করা হয়েছে তা, ৪০,০০০ বছরের ভেতর সীমাবদ্ধ এবং প্রায় সবকটিই মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্র থেকে সংগৃহীত হয়েছে। বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা এবং উত্তর -পূর্ব অঞ্চল সামগ্রিক ভাবে, বাংলাদেশ সহ এই বিস্তৃত অঞ্চলে পুরাপ্রস্তর যুগের একটি তারিখ নেই। তবে ভারতে এই পর্বের সূচনা হয়েছিল ভূতাত্ত্বিক নিম্নমিউসিন যুগে। আজ থেকে ৩০২ লক্ষ বছর আগে এই গ্লিষ্টসিন যুগের আরম্ভ এবং প্রায় ১০ হাজার বছর পূর্বে এর সমাপ্তি।

ব্যাপ্তি / প্রসার : অবিভক্ত ভারত বর্ষের বিভিন্ন অঞ্চল জুড়ে এই যুগের বিস্তার ঘটেছিল সিন্ধু প্রদেশের পশ্চিমভাগে এই যুগের নিদর্শন পাওয়া গেছে। সিন্ধুপ্রদেশ ‘মাইলস্টোন ১০১’ ও ‘সুকুর রোরহি” অঞ্চল দুটি পুরাপ্রস্তর যুগের কেন্দ্র। ‘সংঘাত’ নামে এরকম একটি গুহাতে উৎখনন করে পুরাপ্রস্তর যুগের মধ্য ও উচ্চ পর্যায়ের নিদর্শন পাওয়া গেছে। এর পূর্ব দিকে পশ্চিম পাঞ্জাবের ‘পটওয়ার অধিত্যকাতে গুরুত্বপূর্ণ প্রাগৈতিহাসিক সাক্ষ্য আবিষ্কারের কথা বলা যায়। পশ্চিম ত্রিপুরা ও লালমাই অঞ্চলে পাওয়া পুরাপ্রস্তর যুগের হাতিয়ার ফসিল হয়ে যাওয়া বৃক্ষবশেষ বা কাঠ দিয়ে বানানো এবং বোধহয় পুরাপ্রস্তর যুগের উচ্চ পর্যায়ের। হিমাচল প্রদেশের পূর্বদিকে নেপাল ও তারও পূর্বদিকে পশ্চিম ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের লালমাই অঞ্চল থেকেই শুধু অবিসংবাদী সাক্ষ্য এসেছে। পাললিক ভূমির পশ্চিম দিকে ভারতীয় অন্তরীপ অঞ্চলের সংস্থান পূর্বভারতে পশ্চিমবঙ্গে খুবই স্পষ্ট। বর্ধমান শহরের প্রান্তে দামোদরের পুল পেরিয়ে আমরা যদি আরামবাগের দিকে সোজা তবে ডানদিকে অনেকখানি জায়গা জুড়ে উচ্চ অপেক্ষাকৃত লাল বা গৈরিক ছোট প্রস্তর ও কঙ্কর মিশ্রিত ভূমি দেখা যায়। গড় মান্দারণের পশ্চিমে বিষ্ণুপুর পর্যন্ত ‘জয়পুর’ অরণ্য ও বর্ধমান আরামবাগের মাঝামাঝি কুশদ্বীপ অঞ্চল এই পুরো – উচ্চ অঞ্চল, বাকুড়া জেলার ভেতর ও পশ্চিমে মেদিনীপুর জেলার পশ্চিমাংশ হয়ে, উড়িষ্যার ময়ূরভঞ্জ, পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া ও বিহারের সিংভূমে মিশেছে। বর্ধমান জেলার পশ্চিমাংশেও এই উচ্চভূমি পানাগড়, দুর্গাপুর থেকে শুরু করে বিহার সীমান্ত পর্যন্ত অদি স্পষ্ট। কাহকসার জঙ্গল ও অজয় নদী পেরিয়ে এই ভূমি বীরভূমে ঢুকে ইলামবাজার-শান্তিনিকেতন মুলুকের দাঙা হয়ে নলহাটি পেরিয়ে বিহারের রাজমহল পাহাড়ের নীচ পর্যন্ত গেছে। সমস্ত অঞ্চলটাতে অর্থাৎ বীরভূম থেকে মেদিনীপুরের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশ পর্যন্ত পুরাপ্রস্তর যুগের বিভিন্ন পর্যায়ের চিহ্ন ছড়ানো।

 উত্তরপ্রদেশে হিমালয় বা তার নিম্ন অঞ্চলে এই পর্যায়ের কিছু পাওয়া যায়নি। যা পাওয়া গেছে তা ‘অন্তরীপ ভাগ থেকে। বারাণসীর কাছে মিজাপুর জেলার পাহাড়ি অংশে, চুনার এর কাছে শোন ভদ্র অঞ্চলে, বিন্ধ্যাচল পেরিয়ে এলাহাবাদের কাছাকাছি মেজার কাছে বেলান নদী উপত্যকার নিদর্শন বহু বিস্তৃত। দিল্লি ও হরিয়ানার আরাবী পাহাড় অঞ্চলে, হরিয়ানায় যমুনানগর পেরিয়ে শিবালিক শ্রেণির মধ্যে নিদর্শন আছে। পূর্ব পাঞ্জাব এবং হিমাচলে শিবালিক শ্রেণীর ভেতর আবিষ্কারের দিকে পূর্বেই দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। ভারতের পশ্চিম দিকে গুজরাটের তিনটি মূল অঞ্চলেই- যথা, সবরমতী, নর্মদা, তাপ্তি অববাহিকার মূল ভূভাগ, কচ্ছ অন্তরীপ ও কাথিয়াবাড়ে, সৌরাষ্ট্র অন্তরীপে – পুরাপ্রস্তর যুগের নিদর্শন বিস্তৃত রয়েছে। মধ্যপ্রদেশে প্রায় সর্বত্র বিশেষ করে নর্মদা ও শোন উপত্যকাতে – এই নিদর্শন পাওয়া যায়। মধ্যপ্রদেশের পূর্বাংশে মহানদী অঞ্চল থেকেও নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে। মহারাষ্ট্রের সর্বত্র গোদাবরী উপত্যকা, উপকূলবর্তী কোঙ্কন (গোয়া নিয়ে) ও পূর্ব বিদর্ভ বা বেরারে (বানগঙ্গা উপত্যকা) নিদর্শন ছাড়ানো।

এমন কি পুনে ও মুম্বাই শহর থেকেও এককালে এই নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে। মহীশূর অন্ধ্র ও তামিলনাড়ুতেও নিদর্শন ছড়ানো প্রায় সর্বত্র। এইসব রাজ্যের বিভিন্ন নদী উপত্যকাতে পাহাড়ি অঞ্চলে (যেমন অন্ধ্রে ‘পূর্বঘাট পর্বত মালার সন্নিহিত প্রদেশে) যথেষ্ট নিদর্শন পাওয়া গেছে। অন্ধ্রে কুর্নুল অঞ্চলে কিছু গুহাতে আবিষ্কৃত উচ্চ পুরাপ্রস্তর যুগের নিদর্শন গুরুত্বপূর্ণ। চেন্নাই এর কাছে আত্তিরমপক্কম নালা ধরে একসময় অগণিত পুরাপ্রস্তর যুগের হাতিয়ার পাওয়া গেছে। উড়িষ্যার উপকূলবর্তী অঞ্চলের বাইরে সর্বত্রই এই যুগের নিদর্শন আছে। ময়ূরভঞ্জে বারিপদার কাছে বুলিয়ানা অঞ্চলে কেওনঝাড়, সুন্দরগড়, সম্বলপুর, ফুলবনি, সর্বত্র এই নিদর্শন ছড়ানো। পুরাপ্রস্তর যুগেই ভারতীয় উপমহাদেশে মানুষের আবির্ভাব ঘটেছিল অভিপ্রয়াণ এর মাধ্যমে, সম্ভবত মানবের আদিমতম বসতি আফ্রিকা থেকে। এক্ষেত্রে বলা যায় পুরাপ্রস্তর যুগের নিদর্শন পাওয়া গেছে এমন অনেক স্থান থেকেই মানব পর্যায়ের বিভিন্ন রূপগুলি মূর্ত হয়ে উঠেছিল।

প্রাকৃতিক পরিবেশ :

একটি যুগকে ইতিহাসে টিকে থাকতে হলে অনুকূল পরিবেশের উপর নির্ভর করতে হয়। প্রাচীনকালের প্রাকৃতিক পরিবেশ অর্থাৎ বৃষ্টিপাতের পরিমাণ, উষ্ণতা ও আদ্রতার তারতম্য, সমগ্র উদ্ভিত ও প্রাণীজগৎ ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা বিভিন্ন ধরনের বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে পাওয়া যায়। কাশ্মীরের আবহাওয়া সংক্রান্ত যে তত্ত্ব পন্ডিতরা উপস্থাপিত করে থাকেন তা কয়েকটি পর্যায়ে বিন্যস্ত। প্রথম পর্যায়ে ৩৮ লক্ষ বছর থেকে শুরু করে তারও আগে পর্যন্ত উষ্ণ নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া। দ্বিতীয় পর্যায় হল উপউষ্ণতা থেকে শীতল নাতিশীতোষ্ণ পর্বে উত্তরণ। এই পর্বের সময়কাল মোটামুটিভাবে ৩৭ লক্ষ থেকে ২৬ লক্ষ বছর পর্যন্ত। তৃতীয় পর্যায় হল শীতলতম, যার আনুমানিক সময়কাল ৬ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ বছর পর্যন্ত। আজ থেকে প্রায় ১৭ হাজার বছর আগে কাশ্মীর উপত্যকায় আবহাওয়া উষ্ণ ছিল বলে মনে করা হয়। এই অনুমান করা সম্ভব হয়েছে কিছু উদ্ভিদ রেণুর পরম্পরার ভিত্তিতে। এরকম মনে করা অমূলক হবে না যে আবহাওয়ার উষ্ণতার জন্যই তখন ওই উপত্যকায় বসতি স্থাপন করেছিল। প্রসঙ্গত বলা যায়, প্রায় ১৮,০০০ বছর আগে কাশ্মীরে উচ্চ পুরাপ্রস্তর যুগের নিদর্শন পাওয়া গেছে। পুরাপ্রস্তর যুগের আবহাওয়া তথা প্রাকৃতিক পরিবেশ সংক্রান্ত কিছু ধারণা লাভ করা যায় রাজস্থানের পশ্চিমাঞ্চল প্রসঙ্গে। ওই অঞ্চলে বালিয়াড়ির ঢালে নিম্ন পুরাপ্রস্তর যুগের যে নিদর্শন পাওয়া গেছে তা থেকে অনুমান করা সম্ভব হয় যে আবহাওয়া ছিল অতিশয় শুষ্ক। চল্লিশ বছর আগে বা সমসাময়িক কালে প্রত্নসামগ্রী ও বালিয়াড়িগুলি থেকে এটি আর্দ্র আবহাওয়ার ইঙ্গিত মেলে। আবার দশ হাজার বছর আগেকার উচ্চপুরাপ্রস্তর যুগের নিদর্শন তথা বালিয়াড়িগুলি, বিশেষত নতুন করে বালি জমির বিষয়টি থেকে অনুমিত হয় যে সেই সময় আবহাওয়া ছিল অতি শুষ্ক। অনুসন্ধান চালিয়ে গুজরাটের উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে দেখা গেছে যে, বিভিন্ন সময়ে সমুদ্র তটের উচ্চতার মাত্রার তারতম্য ঘটেছে। এছাড়া, সংগৃহীত স্তর পরম্পরার নমুনা থেকে অনুমান করা হয়ে থাকে যে, ১৮ হাজার বছর আগে ঠাণ্ডা ও শুষ্ক আবহাওয়ার একটা পর্যায় ছিল। তবে ঠিক পুরাপ্রস্তর যুগের বৃষ্টিপাত সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট একটা পর্যায় ছিল। তবে এসব বিশ্লেষণের পরেও বলা যায় ভারত বর্ষে কি ধরনের প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর প্রাচীন প্রস্তরযুগীয় সংস্কৃতি গড়ে উঠেছিল সেই ধারণা মোটেই সুদৃঢ় ভিত্তির উপর এখনো পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত হয়নি। 

আবিষ্কৃত হাতিয়ার

প্রাক ঐতিহাসিক যুগে বোঝাপড়ার একমাত্র ক্ষেত্র ছিল পাথর এই কারণে ঐতিহাসিকগন এই যুগকে বৃহৎভাবে বর্ণনা ও বিশ্লেষণের জন্য পাথরের হাতিয়ারের কথা বলেছিলেন।

 পুরাপ্রস্তর যুগের নিম্ন, মধ্য ও উচ্চ পর্যায়ের হাতিয়ারগুলির মধ্যে পর্যায় অনুযায়ী একটা প্রভেদ নিশ্চয় আছে যেমন, নিম্ন পর্যায়ে হস্তকুঠার (hand axe), ছেদক (cleaver); মধ্য পর্যায়ের জিনিস (scraper), ছোট ছিদ্র করার জিনিস (borer) ওছুচালো অপ্রবিশিষ্ট জিনিস (point); উচ্চ পর্যায়ে লম্বা চিলকা (blade) ও খোলাই করা জাতীয় কাজে প্রয়োজনীয় জিনিস (burin) সংখ্যায় বেশি। তবে এক পর্যায়ের জিনিস অন্য পর্যায়ে (পূর্ববর্তী ও পরবর্তী পর্যায়ে) পাওয়া যায় না এমন নয়। হস্তরঠার নামক আয়ুধটি নিম্ন পর্যায়ে সংখ্যায় বেশি। কিছু মধ্য ও উচ্চ পর্যায়েও পাওয়া গেছে। নিম্ন পর্যায়ের জিনিসগুলি সোজাসুজি একটি পাথর বা তার টুকরো থেকে বানানো হয়েছে। মধ্য পর্যায় থেকে দেখি যে প্রথম মূল বড় পাথর বা পাথরের টুকরোটির ওপর যে জিনিসটি বানানো হবে, চিলকা তুলে তুলে তার একটি প্রাথমিক আকৃতি হচ্ছে।পরে একটি আঘাত দিয়ে আকার দেওয়া চিলকাটি মূল পাথর বা পাথরের টুকরো থেকে আলাদা করে নেওয়া হয়েছে। ‘ব্লেড’ নামধারী লম্বা, অপেক্ষাকৃত কম চওড়া, ছাড়ানোর জন্য একটি পাথরকে প্রথমে দুর্বল আকারে নিয়ে আসা হচ্ছে ও তার চারদিক থেকে লম্বা চিলকা ছাড়ানোর উপায় করা হচ্ছে। নিম্ন পর্যায়ে ‘কোয়ার্টজ এবং ‘ব্যাসল্ট’ জাতীয় পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে হাতিয়ার বানানোর জন্য। পরবর্তী দুটি পর্যায়ে সহজে চিলকা ছড়ানো যায় এমন সুতোটানা বিশিষ্ট্য ‘কোয়াটয, ‘চাট’, ইত্যাদি জাতীয় পার ব্যবহার করা হয়েছে এবং আনুপাতিক ভাবে এদের ব্যবহার অনেক বেশি। হাতিয়ার শুধুমাত্র পাথরেই হত না, যদিও পাথরের হাতিয়ারই বেশি পাওয়া গেছে। হাতের জিনিস উচ্চ পর্যায়ে কুর্নুল থেকে পাওয়া গেছে আর কাঠের ব্যবহারও যে থাকাটা খুব অস্বাবাভিক নয়। সুতরাং উপরিউক্ত হাতিয়ারগুলির ধরন ও ব্যবহারের মধ্য দিয়ে প্রস্তরযুগের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি মূর্ত হয়ে ওঠে।

মানুষের জীবন ধারা ও বিবর্তন :

সাধারণভাবে মানুষ বা মানব বলতে বোঝায় হোমোগণের অন্তর্ভুক্ত প্রাণীকে। অনুমান করা হয় আজ অনেকে প্রায় ২.৫ মিলিয়ন বছর আগে পূর্ব আফ্রিকায় বসবাসকারী অস্ট্রালোপিথেকাস নামক লেজবিহীন বানরেরগণ থেকে বিবর্তিত হয়ে আদি মানবের সর্বপ্রথম পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়। আর এই আবির্ভাবের সূচনায় ছিল প্রস্তরযুগ সেকারণে প্রস্তরযুগের মানুষের জীবনধারা ও সংস্কৃতির একটা রূপরেখা দেওয়া যেতে পারে। হোমো হাবিলিস ও হোমো ইরেকটাস অর্থাৎ পুরা প্রস্তর যুগের মানুষের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির পরিচয় আমরা পাই তার প্রধানত পাথরের হাতিয়ারের ধরনের পরিপ্রেক্ষিতে। আরও উল্লেখ করা যায় যে, হোমো ইরেকটাস যতই বিবর্তিত হচ্ছিল ততই তার হাতিয়ারগুলিরও বিকাশ ঘটছিল। মানুষ বাস করত দলবদ্ধ ভাবে। অর্থনৈতিক জীবনও ছিল খুবই সরল । কৃষি, বাণিজ্য, শিল্প- অর্থনীতির এই প্রধান উৎসের কথা তখন ছিল চিন্তার অতীত মানুষ বা প্রায় মানুষ, যাই বলি না কেন তখন তারা ছিল খাদ্য সংগ্রাহক। – খাদ্য উৎপাদনের ব্যপারটাই তাদের জানা ছিল না। কৃষির আবিষ্কার তখনও হয়নি। বনের ফল মূল ও অন্ত- জানোয়ারই ছিল তাদের জীবন ধারনের প্রধান সফল। শিকারে তারা পারদর্শী ছিল। যে সমস্ত আধ পাওয়া গেছে তার ভিত্তিতে বোঝা সম্ভব হয় যে প্রসূন প্রস্তর যুগের কোপানি, ছেদক ও হাত কুঠার শিল্পের বিকাশ ঘটেছিল। অনুমান করা হয় এই সময় পাথরের বিভিন্ন সূঁচালো হাতিয়ারও ব্যবহার করা হত। প্রধানত মসৃণ ও সুঁচালো হাতিয়ার দিয়ে খুব ভালো শিকার করা যায় এই কারণে বোধহয় এই ধরনের হাতিয়ারগুলি ব্যবহার করত আদিম মানুষ।

শিল্প নিদর্শন :

যেকোনো যুগের শিল্প নিদর্শন সম্পর্কে ধারণা পেতে হলে সেই যুগের সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্যগুলিকে খুঁটিয়ে পর্যালোচনা করা অত্যন্ত জরুরি। উচ্চ পুরাপ্রস্তর যুগের ইউরোপীয় শিল্প কলার কথা বহুবিদ, উত্তর-পূর্ব আলদামিরার গুহা চিত্রের কথা বা দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্রান্সের ল্যাসকো ইত্যাদি স্থানের গুহা চিত্রর কথা শিল্পের ইতিহাসে সুপরিচিত। প্রাথমিকভাবে সবচেয়ে পুরোনো যে নিদর্শন তা ভীমবেটকার একটি গুহাশ্রয়। এই গুহাশ্রয়টিতেই ‘চ্যালসিজেনি’ নামক চিকন এক পাথরের একটি ছোট্ট ছিদ্র যুক্ত চাকতি পাওয়া গেছে। মধ্যপ্রদেশে মাইহারেও নাকি পুরা প্রস্তরযুগীয় স্তরে এ জাতীয় একটি চাকতি পাওয়া গেছে। রাজস্থানে দিদওয়ানার কাছে সঙ্গী তালাও – এ নিম্ন পুরা প্রস্তরযুগীয় স্তরে না একই ৬টি স্ফটিকের টুকরো পাওয়া গেছে। এ ছাড়া কর্ণাটাকের হুনসনগরীতে পুরা প্রস্তরযুগীয় স্তরে গেরুমাটির টুকরো পাওয়ার কথা মনে করা যেতে পারে। মহারাষ্ট্রে পতনে বলে একটা জায়গা খননে এই পর্যায়ে উটপাখির ডিমের খোলার ওপর করা একটি নকশা পাওয়া যায়, যা নিঃসন্দেহে মানুষের করা। ভারতবর্ষে উটপাখির ডিমের খোলার বয়স নির্ধারিত হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার বছর আগে। এ ছাড়া পাটনা ও ভীমবেঠকার এই ডিমের খোলার তৈরি কয়েকটি পুঁথি পাওয়া গেছে। উত্তরপ্রদেশে বেলান উপত্যকায় লোহানডা নালাতে উচ্চ পুরপ্রস্তরযুগীয় একটি কঙ্কর স্তর থেকে আবিষ্কৃত হয়েছে ১৫ সেন্টিমিটারের একটু বেশি লম্বা হাড়ের একটি জিনিস। এটিকে ‘হারপূর্ণ’ ও মনে হতে পারে। আবার এটি একটি মাতৃকা মূর্তিও হতে পারে। এটিও ২০-২৫ হাজার বছরের পুরনো জিনিস।

১৮৫৯ সালে ব্রিটেনের রয়্যাল সোসাইটি প্রাচীন প্রস্তরযুগের হাতিয়ারের প্রাচীনত্বকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকেই প্রাগৈতিহাসিক চর্চা কর্মে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করে। বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ থেকেই প্রাচীন প্রস্তর যুগের ইতিহাসচর্চার অগ্রগতি তুলনামূলক ভাবে বাড়তে থাকে। স্বাধীনতার পর থেকে তা ক্রমে ত্বরান্বিত হয়।

2. পুরাপ্রস্তর সংস্কৃতির কালক্রম সম্পর্কে টীকা লেখ ।

পুরাপ্রস্তর যুগের কালনির্ণয়ের বিষয়টি আপাতদৃষ্টিতে কঠিন বলে মনে হলেও পুরাতাত্ত্বিক ও বৈজ্ঞানিকদের নিরলস প্রচেষ্টায় তা এখন অনেকটাই আয়ওের মধ্যে এসেছে। বর্তমান ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে নিম্ন পুরাপ্রস্তর যুগের যে তারিখগুলি পাওয়া গেছে তা হল-

পশ্চিম রাজস্থানের দিদওয়ানা অঞ্চল-৩,৯০,০০০ বছর বা তার বেশি; ১,৫০,০০০ বছর পর্যন্ত।

সৌরাষ্ট্রে জুনাগড় ও উমরেথি থেকে পাওয়া তারিখ- ১,৯০,০০০ বছর বা কম বেশী।

মহারাষ্ট্রের গোদাবরী উপত্যকায় নেভাসা- ৪,০০,০০০ বছর বা কম বেশী।

কর্ণাটকে কৃষ্ণা উপত্যকায় য়েদুরওয়াড়ি থেকে ৪,০০,০০০ বছর বা কম বেশী।

কর্ণাটকে হুন্সগি ও বৈচাবল উপত্যকায়- ২,৯০,০০০ বছর, ৩,৫০,০০০ বছর ও ১,৭৪,০০০ বছর।

পূর্ব মধ্যপ্রদেশের শোন উপত্যকা- ১,০৩,৮০০ বছরের কম-বেশি বা ১৯,৮০০ বছর- নিম্নপুরাপ্রস্তর যুগের একেবারে শেষ পর্যায়।

তবে মধ্যপুরাপ্রস্তর যুগের তারিখ নিরূপণে রেডিও-কার্বন পদ্ধতির প্রয়োগ ঘটানো হয়েছে। ঐ পদ্ধতিতে মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রত্নক্ষেত্র থেকে প্রাপ্ত সামগ্রীর তারিখগুলি ৪০,০০০ থেকে ১০,০০০ বছরের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তবে অন্যান্য পদ্ধতিতে এগুলির তারিখ ১,০০,০০০ থেকে ২৬,০০০ বছরের মধ্যে নির্ণীত হয়েছে।

উচ্চপর্যায়েরও একটি প্রাচীন তারিখ হল ৪৫,০০০-৪০,০০০ বছর (পটওয়ার অধিত্যকায়) পেশয়ারের উত্তরপূর্বে সাংহাও গুহার তারিখ ৪২,৫০০। অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশে উজ্জয়নি ও মান্দাসর জেলার দুটি অঞ্চল থেকে পাওয়া তারিখ ৩১,০০০ বছর, কিছু তারিখ ২০,০০০ বছরেরও কম। তবে বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা এবং উত্তরপূর্ব অঞ্চলের কোন তারিখ নেই।

…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

NSOU তে নিশ্চিন্তে পাস করার উপায়

• Maximum NSOU ছাত্রছাত্রীদের একটাই প্রশ্ন ; একটাই ভয় : “পাশ করবো তো? ”
• হ্যাঁ , অবশ্যই পাশ করবেন । সারাবছর পড়ো নি, তাই নিজেকে দুর্বল ভাবার কিছু নেই। এখনও হাতে অনেক সময় আছে। আমরা তো এক্সাম এর 2 দিন আগে পড়তাম , তাতেই 60% নম্বর এনেছিলাম। সেই সময় নোটস, সাজেশন খুব একটা পাওয়া যেত না।
  
• যেভাবে ভয় দূর করবেন?
• প্রথমত নিজের প্রতি আস্থা রাখুন, নিজেকে আগেই মরার আগে মেরে ফেলছন কেনো? জেনে রাখুন, সাজেস্টেড ওয়েতে সাজেস্টিভলি পড়াশনা করলে পাশ করতে বাধ্য । নোটস পড়ার আগে গত ৫ বছরের প্রশ্নপত্রগুলি ঘেঁটে দেখুন, বুঝে জাবেন ।
• মোবাইল এ  সময় টা সব নষ্ট না করে, সময় গুলো  একটু বই পরে, বা সাজেস্টেড সাজেশনের নোটসগুলো একটু রিডিং করুন, কন্সপেট ক্লিয়ার করুন, নিজেকে তৈরী রাখুন।
•  সিলেবাস সম্পর্কে ধারণা নিয়ে যাবেন ।
• যাদের বই নেই, কিন্তু নোটস আছে, নোটস সাজেশন গুলো, মুখস্ত করতে চেষ্টা করুন, খুব বেশি মুখস্ত না হলে, খাতায় লিখে লিখে পড়ুন, দেখবেন, পরীক্ষাতে কিছু হলেও লিখে আসতে পারবেন।
• শুধু পরলেই হবে না, সাথে মার্ক করুন  কোন কোন পয়েন্ট গুলো, মনে রাখতে হবে।
• এক্সাম হল-এ সবাই নার্ভাস ফিল করেন, এটাই খুব স্বাভাবিক, কেউই বিদ্যাসাগর নয়, ম্যক্সিমাম স্টুডেন্ট ঠিক আপনার মতই নার্ভাস থাকবে, তাই ভয় পাওয়ার কোনো কারন নেই , নিজের প্রতি ভরসা রাখুন আর ফাটিয়ে লিখে আসুন ।
• কোনো প্রশ্নের উত্তর পারবো না বলে ছেড়ে আসবেন না, যেটুকু পারবেন, সেই টুকুই ২-৪ লাইন লিখে আসুন।  মনে রাখবেন ব্ল্যঙ্ক পেজ রেখে আসবেন না।।
• স্যার তো চাইবেন আপনাকে নাম্বর দিতে কিন্তু আপনি কিছু না লিখে আসলে , কিভাবে আপনাকে নাম্বর দেবেন বলুন ? কিন্তু তাই বলে, গরুর রচনা তে নদীর রচনা লিখে এলে নিশ্চয় নম্বর পাবেন না। যে টপিক থাকবে, সেই টপিকি কিছু লিখে আসবেন।

Example > ম্যাকবেথ নিয়ে যেকোনো প্রশ্ন এলে, ম্যাকবেথ এর মূল ভাবটা যা জানেন তাই লিখে আসবেন,

বা ধরুন = সাহিত্য নিয়ে কোনো প্রশ্ন এলে, সেই টপিক অনুযায়ী যা জানেন তাই লিখে আসবেন, মোট কথা কোনো প্রশ্ন একটুও যদি আপনি জেনে থাকেন , খালি রেখে আসবেন না । ফর সিওর পাস আপনি  করবেই করবেন ।

• পরীক্ষার আগে, নিজেকে একটু সময় দিতে হবে, 2 দিন না হলে একদিন, দেখুন সারাজীবন-ই তো কাজ আর কাজ থাকবেই, তার মধ্যে আপনি যদি সময় বের করতে না পারেন, তাহলে তো আফসোস করতেই হবে আপনাকে এক্সাম হল-এ, তাইনা?  সবটা সবার উপর ছেড়ে দিতে নেই। নিজেও একটু পড়তে হবে।
• শেষকথা, প্রস্তুতি নিন, নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখুন, প্রতিদিন সামান্য হলেও পড়ুন, আর  সাজেশন গুলো ভালো করে ফলো করে যান । ফর সিওর পাস আপনি  করবেই করবেন ।

নোটস মুখস্ত করার টিপস

 ১। সম্পূর্ণ অনুচ্ছেদটি বারবার পড়ার উপর জোর দেওয়া:

আমাদের একটি বড্ড বাজে অভ্যাস রয়েছে, আমরা কী পড়লাম তার থেকে কতটুকু সময় পড়েছি তার উপর বেশী জোর দেই। ধরা যাক আজ সকালে উঠে আমি একটানা পাঁচ ঘণ্টা পড়েছি কিন্তু আসলেই কি সম্ভব একটানা পাঁচ ঘন্টা পড়া? টানা পাঁচ কেন দুই ঘণ্টাই মনোযোগ ধরে রাখা কিন্তু চাট্টিখানি কথা না, একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে পাঁচ ঘন্টার মাঝে কতবার আমাদের মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটেছে। হয়তো পড়ার মাঝেই আমাদের ফেসবুকের নোটিফিকেশন চেক করছি, মেইল চেক করছি, কিংবা ইউটিউবে ঢুকে বসে আছি। এভাবে ২-৩ ঘণ্টা পড়ার পর ভাবছি আজ না জানি কত বেশি পড়ে ফেললাম। অথচ এই সময়টুকুতে যতোটুকু পড়া যেতো তা কিন্তু হয় নি।

কোন টপিক শিখতে কত সময় পড়লাম সেটা কখনোই মুখ্য বিষয় নয়, বরং টপিকটি আমি কয়বার ভালোভাবে বুঝে পড়েছি সেটাই মুখ্য বিষয়।

সুতরাং, পড়তে বসার সময় কোন টপিক মুখস্থ করার জন্য কোন নির্ধারিত সময় ফিক্সড না করে বরং টপিকটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত লাইন বাই লাইন কয়েকবার পড়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। একটা দাঁতভাঙ্গা অনুচ্ছেদ প্রথমবার পুরোটা পড়লে যতটুকু কঠিন মনে হবে দ্বিতীয়বার পড়লে তুলনামূলক কম কঠিন মনে হবে। সুতরাং যতবার পুনরায় পড়া হবে ততোটাই সহজ মনে হবে।

২। অনুচ্ছেদটিকে ভেঙ্গে ছোট ছোট ভাগে বিভক্ত করে পয়েন্ট আউট করে ফেলা:

টপিকটি সম্পূর্ণ লাইন বাই লাইন পড়া হয়ে গেলে যে সকল বাক্যগুলো দুর্বোধ্য সেগুলো আন্ডারলাইন করে ফেলতে হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো বের করে নিয়ে আসতে হবে। একেকটি পয়েন্ট একটি শব্দ কিংবা একটি ছোট বাক্যের সমন্বয়ে তৈরি হতে পারে। পয়েন্ট আউট করাটা অবশ্যই বুদ্ধিমত্তার সাথে করতে হবে যেন একবার পড়ার সাথে সাথেই টপিকটির একটি বিশেষ অংশ মাথায় ঘোরা শুরু করে।

৩। মার্কার পেন ব্যবহার করা

কেউ কেউ ঝকঝকে বই ভালবাসেন আবার অনেকেই লাল নীল রঙ্গে বই ফুটিয়ে তোলেন। তবে আমাদের মধ্যে বেশিরভাগই মার্ক করে বা দাগিয়ে পড়তে ভালবাসেন। এটাও পড়া মনে রাখতে বেশ কার্যকর। গুরুত্বপূর্ণ অংশটুকু চিহ্নিত করার ফলে কোন শব্দ বা বাক্যের প্রতি আকর্ষণ ও আগ্রহ বেড়ে যায়। সেই সাথে ঐ অংশটুকুর উপর ব্রেইণের ভিজ্যুয়ালিটি ইফেক্টও বেড়ে যায় যা পড়াকে মনে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা করে।

৪। বেশি বেশি পড়া ও অনুশীলন করা

পড়া মুখস্ত করার জন্য শুধু পড়লেই হবে না, লিখতেও হবে বারবার। মানুষের ব্রেইন ক্ষণস্থায়ী স্মৃতি গুলোকে ঠিক তখনই দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতিতে পরিণত করে যখন সেটা বার বার ইনপুট দেয়া হয়।

একই জিনিস বারবার ইনপুট দেওয়ার ফলে ব্রেইণ তার স্মৃতি গঠনের স্থানে একটি গাঠনিক পরিবর্তন আনে, যা দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি তৈরীতে সাহায্য করে। সুতরাং পড়া মনে রাখার অন্যতম উপায় হলো বেশি বেশি পড়া ও অনুশীলন করা।

৫। পড়ার জন্য সঠিক সময় নির্বাচন

প্রায় অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীর ধারণা সারাদিন-সারারাত পড়লেই পড়া বেশি মনে থাকে। এটা নিতান্তই একটা ভুল ধারণা। এর কারণ হলো সবসময় আমাদের ব্রেইন একইভাবে কাজ করতে সক্ষম হয় না। তবে পড়ার জন্য একটা রুটিন বানানো উচিৎ । 

অবশেষে বলবো পড়াশনাটা আপনাকেই করতে হবে তাই আপনার সময় মতো পড়াশনার রুটিন বানিয়ে পড়াশনা শুরু করুন, সময় খুবই কম । যত তাড়াতাড়ি আপনি পড়াশনা শুরু করবেন তত এগিয়ে থাকবেন।

“মনে রাখবেন “সময় একটি শব্দ মাত্র যেটি চলে গেলে কখনই ফিরে আসে না ।

 And Your Time Start NOW ! ”

…………………………………………………………………………………………………………..

CONTACT // WHATSD APP – 8479091027

message me : https://wa.me/918479091027

EMAIL. malymaity94@gmail.com

CHECK OUT THE PLATFORM:

TO VISIT MY BLOG LINK :https://mminstitution.blogspot.com/​​​​​

👉 👉 Subscribe MY YouTube Channel :- http://www.youtube.com/c/MMINSTITUTIO…

👉 👉 Join 📚 MM INSTITUTION📚 FACEBOOK Group 2️⃣ :-

https://www.facebook.com/groups/20444…

👉👉join my telegram group:

https://t.me/mm_instituti​​​​​

👉👉join my Facebook page:

https://www.facebook.com/nsouhelp