UG CC-BG-05 SAMPL NOTE – MM INSTITUTION

MM INSTITUTION

👇DOWNLOAD UG SAMPLENOTE (CC-BG-05) 👇

১। জটায়ুর সঙ্গে রাবণের যুদ্ধের বর্ণনা দিন।

Ans. আসলে জটায়ু ছিলেন শকুনের রাজা, ঈগল রাজা নয়। রামায়ণে তাকে গিদ্ধরাজ জটায়ু বলা হয়েছে, গিদ্ধ মানে শকুন। কাহিনি অনুসারে, রাবণ যখন পঞ্চবতী থেকে মাতা সীতাকে অপহরণ করার চেষ্টা করেছিল, তখন জটায়ু সীতার চিৎকার শুনতে পান। জটায়ু ছিলেন ভগবান রাম ও মাতা সীতার কাছে পিতার মতো। তিনি পুষ্পক বিমান-রাবণের বিমানের দিকে উড়ে গেলেন।

শয়তান রাবন মাতা সীতাকে তার বিমানের উপর জোর করে নিয়ে যেতে দেখে তাকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছিলেন। রাবণকে আক্রমণ করার জন্য তিনি তার ধারালো চঞ্চু ব্যবহার করেছিলেন। এমনকি রাবণকে বহুবার আঘাত করেছিলেন। রাবণ তার শক্তিশালী তরবারি চন্দ্রহাস ব্যবহার করে জটায়ুর ডানা কাটে।

জটায়ু রাবণকে আঘাত করা বন্ধ করেনি তার একটি ডানা সম্পূর্ণভাবে তার শরীর থেকে কেটে ফেলার পরেও। যখন তার দ্বিতীয় ডানা কাটা হয়, তিনি মাটিতে পড়ে যান কিন্তু তার চেতনা হারাননি।

তিনি ভগবান রাম এবং লক্ষ্মণের আগমনের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন, যাতে তিনি তাদের সীতার অপহরণ সম্পর্কে বলতে পারেন। তিনি তার যন্ত্রণায় অনেক ঘন্টা ভুগেছিলেন কিন্তু তার প্রভুর সাথে দেখা করার আগে মরতে অস্বীকার করেছিলেন।

ভগবান রাম অবশেষে এসে তাকে কষ্ট পেতে দেখলেন, তিনি তাকে আলতো করে তার কোলে শুইয়ে দিলেন এবং তার সেবা ও আনুগত্যের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানালেন। জটায়ু প্রভুর কোলে নিজের জীবন বিসর্জন দেন এবং তাঁর আশীর্বাদ পেয়েছিলেন। ভগবান রাম নিজেই জটায়ুর শেষকৃত্য করেছিলেন, যেমন একটি পুত্র তার পিতার জন্য করে।

জটায়ু ছিলেন প্রথম মহান যোদ্ধা, যিনি একজন মহিলার জীবন বাঁচানোর জন্য নিজের জীবন হারিয়েছিলেন। ভগবান রাম এবং মাতা সীতার প্রতি তাঁর ভালবাসা এবং ভক্তি এতটাই মহান ছিল যে তিনি তাদের জন্য নিজের জীবনের চিন্তা করেননি।

রাবণের সাথে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পরে জটায়ু মূর্চ্ছিত হয়ে মাটি পড়ে থাকা অবস্থায় তিনি রামের সাক্ষাৎ পান৷ সমস্ত ঘটনা শুনে রাম তাকে তার মোক্ষ লাভের কথা বলেন৷ জটায়ু সীতার বিরহে বিব্রত রামকে সান্ত্বনা দিয়ে আশ্বস্ত করেন যে সীতার কোনো ক্ষতি হবে না এবং শীঘ্রই তারা তাকে খুঁজে পাবেন৷ তার মুখে সীতার কুশল সংবাদ ও আশ্বস্তবাণী শুনে রাম জটায়ুকে আলিঙ্গন করেন৷ জটায়ুর কথায় তৃপ্ত হয়ে তাকে আশীর্বাদ করেন৷ রাম জটায়ুর মৃৃত্যুতে সীতার বিরহের থেকেও অধিক মর্মাহত হন৷ রাম জটায়ুকে নিজের পিতার সমান ও পিতৃৃতুল্য মনে করে তার অন্ত্যেষ্টি ও প্রয়োজনীয় শ্রাদ্ধশান্তি নিষ্ঠাসহ সম্পন্ন করেন৷ ভগবান বিষ্ণুর রাম অবতার তার সমস্ত জীবন এক সাধারণ মানুষের মতো দুঃখ কষ্ঠ সুখ বিলাস ইত্যাদির আস্বাদ নিলেও এই ক্ষেত্রে তিনি অলৌকিকতার প্রকাশ ঘটান৷ নিজের তীর ভূমিতে নির্দেশিত করে তিনি সপ্তনদীর জল একত্রিত করে সঙ্কল্প করার পরিকল্পনা করেন৷ ছয় নদীর জল তার আদেশ মেনে ঐ স্থানে উপস্থিত হলেও একটি নদী তার আদেশ অবজ্ঞা করেন৷ ফলে বিষ্ণুর অবতার হওয়ার দরুন রাম গয়াধামকে উক্তস্থানে উপবিষ্ট হওয়ার জন্য একপ্রকার বাধ্য করেন৷

২। রামের চরিত্র কৃত্তিবাসের রচনায় যেভাবে পরিস্ফুট হয়েছে, তার পরিচয় দিন।

Ans. শ্রীরামচন্দ্র: মূল রামায়ণে বাল্মীকিমুনি রামায়ণের কেন্দ্রীয় চরিত্র রামচন্দ্রকে বীররসে মন্ডিত করেছেন। কিন্তু কৃত্তিবাসের হাতে চরিত্রটি ভক্তের ভগবানে পরিণত হয়েছে। অরণ্যখণ্ডে রামের ভক্তের ভগবানরূপের পাশাপাশি বীরত্বের মহিমাতেও উজ্জ্বল হয়েছে। পিতৃভক্ত রামচন্দ্র এই খণ্ডে ভ্রাতৃভক্তরূপে যেমন সুচিহ্নিত, তেমনি পত্নীর প্রতি প্রেমে-আদর্শ পতিরূপে চিত্রিত। ভক্তি নম্র রামচন্দ্র প্রয়োজনে যে রুদ্রমূর্তিও ধারণ করতে পারেন তার পরিচয় আছে। ‘সীতাহারা’ রামচন্দ্রের আকুল বিলাপ পাঠকের চোখে জল আনে।

অরণ্যখণ্ডের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত রামচন্দ্র নানা ঘটনার সঙ্গে জড়িত। সুখে-দুঃখে, আনন্দ-বেদনায় ও বিরহ যন্ত্রণায় চরিত্রটি বাস্তবধর্মী হয়েছে। চিত্রকূট পর্বতে অবস্থানকালে ভীতত্রস্ত মুনিদের কানাকানিতে বুদ্ধিদীপ্ত রামচন্দ্র তাঁদের মানসিক অবস্থা বুঝতে পেরেই দৃঢ় চিত্তে বলেন-

“যদি কোন বিপদ হয়েছে উপস্থিত। আমারে জানাও আমি করিব বিহিত।।”

এই উক্তিটির মধ্য দিয়ে রামচন্দ্রের মানসিক শক্তির পরিচয় পাওয়া যায়। অন্যের বিপদে প্রাণ তুচ্ছ করে ঝাঁপিয়ে পড়ার মহান আদর্শ লক্ষণীয়। মুনিগণের চিত্রকূট ছেড়ে চলে যাওয়া, নির্জন বনভূমিতে রূপবতী সীতাকে নিয়ে কীভাবে দিন কাটাবেন-সে গভীর চিন্তায় রামচন্দ্র মগ্ন হন। এই চিন্তার মধ্য দিয়ে রামচন্দ্রের চরিত্রের মধ্যে অনুধ্যানী রূপটি প্রকাশ পেয়েছে।

অযোধ্যা থেকে চিত্রকূট বেশী দূর নয়। যে-কোনো সময় ভ্রাতৃভক্ত ভরত এসে রামচন্দ্রের পিতৃসত্য রক্ষার আদর্শভূমিকা টলাতে পারে একথা ভেবে তিনি চিত্রকূট ত্যাগ করে সুদূর দক্ষিণে যাত্রা করেন। এই সিদ্ধান্ত নেবার মধ্যে আমরা রামচন্দ্রের আদর্শের প্রতি অটল নিষ্ঠা ও দূরদর্শিতার পরিচয় পাই। অত্রিমুনির আশ্রমে তাঁর ভক্তি বিনম্র রূপটি প্রকাশ পেয়েছে। এরপর দন্ডকারণ্যে প্রকৃতি প্রেমিক রামচন্দ্রকে আমরা পাই। বিরাধ, খর-দূষণের সঙ্গে যুদ্ধে রামচন্দ্রের বীরত্বের পাশাপাশি, সীতার বিপদ আশঙ্কিত ভাবনা রামচন্দ্রের চরিত্রটিকে বীর্যবত্তা ও প্রেম আলিম্পনে শৌর্য ও মাধুর্যে ভরিয়ে তুলেছে। বিশেষ বিশেষ মুহূর্তে লক্ষ্মণকে উপদেশ দেবার মধ্যে তাঁর বিচার- বিশ্লেষণ ক্ষমতা ও বিচক্ষণতার পরিচয় পাওয়া যায়। ইন্দ্রের আগমন মুহূর্তে লক্ষ্মণকে দূরে থাকতে এবং পঞ্চবটী বনে স্বর্ণমৃগ ধরে আনার সময় লক্ষ্মণের প্রতি তাঁর নির্দেশ-

‘যাবৎ মারিয়া মৃগ নাহি আসি ঘরে। তাবৎ করহ রক্ষা লক্ষ্মণ সীতারে।।“

এছাড়া সীতার আশাপূর্ণ করার জন্য ধনুর্বাণ হাতে বনে গমন ইত্যাদির মধ্যেও পত্নীর প্রতি অনন্ত ভালোবাসার রূপটি প্রকাশ পেয়েছে।

সূর্পণখার রামচন্দ্রের প্রতি প্রেম নিবেদন কালে রামচন্দ্রের চরিত্রে রস রসিকতা ফুটে উঠেছে। রামের জীবন সঙ্গিনী হবার জন্য যখন সুর্পণখা নাছোড়বান্দা তখন পরিহাস ছলে রামচন্দ্র বলেন-

“আমার হইলে জায়া পাবে যে সতিনী। লক্ষ্মণের ভার্য্যা হও সে বড় গুণী।।”

তিনি আরো বলেন-

“লক্ষ্মণ কনকবর্ণ পরমসুন্দর। লক্ষ্মণের ভার্য্যা নাই তুমি কর বর।।”

এইরূপ টুকরো টুকরো কথার ফাঁকে রামচন্দ্রের পরিহাসপ্রিয় মধুর চারিত্রিক ব্যঞ্জনা ছড়িয়ে পড়েছে। ‘শ্রীরামচন্দ্রের বিপাল ও সীতার অন্বেষণ’ পর্বে আশঙ্কাকুল রামচন্দ্রের রূপের পাশাপাশি লক্ষ্মণের প্রতি তাঁর আকুল প্রশ্ন-

“শুনরে লক্ষ্মণ সেই সোনার পুতুলি।

শূন্য ঘরে রাখিয়া কাহারে দিলে ডালি।।”

কর্মযোগী রামচন্দ্র হয়েছেন অদৃষ্টবাদী। পত্নী প্রেমের অনন্তরূপ রামচন্দ্রের আদর্শ পতিসত্তাকে উজ্জ্বলভাবে

ফুটিয়েছে। তন্ন তন্ন করে সব জায়গায় খুঁজেও সীতাকে না পেয়ে ‘সীতা-সীতা’ করে পাগল পারা হন। তাঁর বুক ভাঙা কান্নায় বনের পশু-পাখীও কাঁদতে থাকে। মুনিগণ ছুটে আসেন। কিন্তু তাঁর মুখে শুধু ‘সীতা’। ভাইকে বলেন-

“কি করিব কোথা যাব অনুজ লক্ষ্মণ। কোথা গেলে সীতা পাব কর নিরূপণ।”

বিচ্ছেদ যন্ত্রণা কাতর রামচন্দ্রের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায় গভীর পত্নী প্রেম। স্ত্রীর প্রতি রামচন্দ্রের অনন্ত প্রেম কবি প্রস্ফুটিত করতে লিখেছেন-

“সীতা ধ্যান সীতা জ্ঞান সীতা চিন্তামণি। সীতা বিনা আমি যেন মণি হারা ফণী।।”

অরণ্যখণ্ডের এই অংশটিতে প্রেম ভীরু কোমল মধুর রূপটি কৃত্তিবাস করুণ রসের ধারায় স্নাত করে বীর রামচন্দ্রকে সার্থক প্রেমিকরূপে সৃষ্টি করেছেন। তবে তিনি শুধু চোখের জলের বুক ভাসিয়েই ক্ষান্ত থাকেন নি। সীতা উদ্ধারের জন্য মন প্রাণ দৃঢ় করে এগিয়ে গেছেন। শবরীকে শাপমুক্ত করে ভাই লক্ষ্মণকে নিয়ে সুগ্রীবের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

সার্বিক বিচারে চরিত্রটি কোমলে কঠোরে আকর্ষক হয়েছে। শ্রীরামচন্দ্রের শৌর্য ও মাধুর্য একাকার হয়ে গেছে। বীরত্ব, প্রেম, পরিহাসরসিকতা, দৃঢ়তা ইত্যাদি সর্বগুণে গুণান্বিত চরিত্রটি নিঃসন্দেহে ‘অমৃতের ভাণ্ড’।

…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………

NSOU তে নিশ্চিন্তে পাস করার উপায়

Maximum NSOU ছাত্রছাত্রীদের একটাই প্রশ্ন ; একটাই ভয় : “পাশ করবো তো? ”
হ্যাঁ , অবশ্যই পাশ করবেন । সারাবছর পড়ো নি, তাই নিজেকে দুর্বল ভাবার কিছু নেই। এখনও হাতে অনেক সময় আছে। আমরা তো এক্সাম এর 2 দিন আগে পড়তাম , তাতেই 60% নম্বর এনেছিলাম। সেই সময় নোটস, সাজেশন খুব একটা পাওয়া যেত না।
যেভাবে ভয় দূর করবেন?
প্রথমত নিজের প্রতি আস্থা রাখুন, নিজেকে আগেই মরার আগে মেরে ফেলছন কেনো? জেনে রাখুন, সাজেস্টেড ওয়েতে সাজেস্টিভলি পড়াশনা করলে পাশ করতে বাধ্য । নোটস পড়ার আগে গত ৫ বছরের প্রশ্নপত্রগুলি ঘেঁটে দেখুন, বুঝে জাবেন ।
মোবাইল এ সময় টা সব নষ্ট না করে, সময় গুলো একটু বই পরে, বা সাজেস্টেড সাজেশনের নোটসগুলো একটু রিডিং করুন, কন্সপেট ক্লিয়ার করুন, নিজেকে তৈরী রাখুন।
সিলেবাস সম্পর্কে ধারণা নিয়ে যাবেন ।
যাদের বই নেই, কিন্তু নোটস আছে, নোটস সাজেশন গুলো, মুখস্ত করতে চেষ্টা করুন, খুব বেশি মুখস্ত না হলে, খাতায় লিখে লিখে পড়ুন, দেখবেন, পরীক্ষাতে কিছু হলেও লিখে আসতে পারবেন।
শুধু পরলেই হবে না, সাথে মার্ক করুন কোন কোন পয়েন্ট গুলো, মনে রাখতে হবে।
এক্সাম হল-এ সবাই নার্ভাস ফিল করেন, এটাই খুব স্বাভাবিক, কেউই বিদ্যাসাগর নয়, ম্যক্সিমাম স্টুডেন্ট ঠিক আপনার মতই নার্ভাস থাকবে, তাই ভয় পাওয়ার কোনো কারন নেই , নিজের প্রতি ভরসা রাখুন আর ফাটিয়ে লিখে আসুন ।
কোনো প্রশ্নের উত্তর পারবো না বলে ছেড়ে আসবেন না, যেটুকু পারবেন, সেই টুকুই ২-৪ লাইন লিখে আসুন। মনে রাখবেন ব্ল্যঙ্ক পেজ রেখে আসবেন না।।
স্যার তো চাইবেন আপনাকে নাম্বর দিতে কিন্তু আপনি কিছু না লিখে আসলে , কিভাবে আপনাকে নাম্বর দেবেন বলুন ? কিন্তু তাই বলে, গরুর রচনা তে নদীর রচনা লিখে এলে নিশ্চয় নম্বর পাবেন না। যে টপিক থাকবে, সেই টপিকি কিছু লিখে আসবেন।

Example > ম্যাকবেথ নিয়ে যেকোনো প্রশ্ন এলে, ম্যাকবেথ এর মূল ভাবটা যা জানেন তাই লিখে আসবেন,

বা ধরুন = সাহিত্য নিয়ে কোনো প্রশ্ন এলে, সেই টপিক অনুযায়ী যা জানেন তাই লিখে আসবেন, মোট কথা কোনো প্রশ্ন একটুও যদি আপনি জেনে থাকেন , খালি রেখে আসবেন না । ফর সিওর পাস আপনি করবেই করবেন ।

পরীক্ষার আগে, নিজেকে একটু সময় দিতে হবে, 2 দিন না হলে একদিন, দেখুন সারাজীবন-ই তো কাজ আর কাজ থাকবেই, তার মধ্যে আপনি যদি সময় বের করতে না পারেন, তাহলে তো আফসোস করতেই হবে আপনাকে এক্সাম হল-এ, তাইনা? সবটা সবার উপর ছেড়ে দিতে নেই। নিজেও একটু পড়তে হবে।
শেষকথা, প্রস্তুতি নিন, নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখুন, প্রতিদিন সামান্য হলেও পড়ুন, আর সাজেশন গুলো ভালো করে ফলো করে যান । ফর সিওর পাস আপনি করবেই করবেন ।

নোটস মুখস্ত করার টিপস

১। সম্পূর্ণ অনুচ্ছেদটি বারবার পড়ার উপর জোর দেওয়া:

আমাদের একটি বড্ড বাজে অভ্যাস রয়েছে, আমরা কী পড়লাম তার থেকে কতটুকু সময় পড়েছি তার উপর বেশী জোর দেই। ধরা যাক আজ সকালে উঠে আমি একটানা পাঁচ ঘণ্টা পড়েছি কিন্তু আসলেই কি সম্ভব একটানা পাঁচ ঘন্টা পড়া? টানা পাঁচ কেন দুই ঘণ্টাই মনোযোগ ধরে রাখা কিন্তু চাট্টিখানি কথা না, একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে পাঁচ ঘন্টার মাঝে কতবার আমাদের মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটেছে। হয়তো পড়ার মাঝেই আমাদের ফেসবুকের নোটিফিকেশন চেক করছি, মেইল চেক করছি, কিংবা ইউটিউবে ঢুকে বসে আছি। এভাবে ২-৩ ঘণ্টা পড়ার পর ভাবছি আজ না জানি কত বেশি পড়ে ফেললাম। অথচ এই সময়টুকুতে যতোটুকু পড়া যেতো তা কিন্তু হয় নি।

কোন টপিক শিখতে কত সময় পড়লাম সেটা কখনোই মুখ্য বিষয় নয়, বরং টপিকটি আমি কয়বার ভালোভাবে বুঝে পড়েছি সেটাই মুখ্য বিষয়।

সুতরাং, পড়তে বসার সময় কোন টপিক মুখস্থ করার জন্য কোন নির্ধারিত সময় ফিক্সড না করে বরং টপিকটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত লাইন বাই লাইন কয়েকবার পড়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। একটা দাঁতভাঙ্গা অনুচ্ছেদ প্রথমবার পুরোটা পড়লে যতটুকু কঠিন মনে হবে দ্বিতীয়বার পড়লে তুলনামূলক কম কঠিন মনে হবে। সুতরাং যতবার পুনরায় পড়া হবে ততোটাই সহজ মনে হবে।

২। অনুচ্ছেদটিকে ভেঙ্গে ছোট ছোট ভাগে বিভক্ত করে পয়েন্ট আউট করে ফেলা:

টপিকটি সম্পূর্ণ লাইন বাই লাইন পড়া হয়ে গেলে যে সকল বাক্যগুলো দুর্বোধ্য সেগুলো আন্ডারলাইন করে ফেলতে হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো বের করে নিয়ে আসতে হবে। একেকটি পয়েন্ট একটি শব্দ কিংবা একটি ছোট বাক্যের সমন্বয়ে তৈরি হতে পারে। পয়েন্ট আউট করাটা অবশ্যই বুদ্ধিমত্তার সাথে করতে হবে যেন একবার পড়ার সাথে সাথেই টপিকটির একটি বিশেষ অংশ মাথায় ঘোরা শুরু করে।

৩। মার্কার পেন ব্যবহার করা

কেউ কেউ ঝকঝকে বই ভালবাসেন আবার অনেকেই লাল নীল রঙ্গে বই ফুটিয়ে তোলেন। তবে আমাদের মধ্যে বেশিরভাগই মার্ক করে বা দাগিয়ে পড়তে ভালবাসেন। এটাও পড়া মনে রাখতে বেশ কার্যকর। গুরুত্বপূর্ণ অংশটুকু চিহ্নিত করার ফলে কোন শব্দ বা বাক্যের প্রতি আকর্ষণ ও আগ্রহ বেড়ে যায়। সেই সাথে ঐ অংশটুকুর উপর ব্রেইণের ভিজ্যুয়ালিটি ইফেক্টও বেড়ে যায় যা পড়াকে মনে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা করে।

৪। বেশি বেশি পড়া ও অনুশীলন করা

পড়া মুখস্ত করার জন্য শুধু পড়লেই হবে না, লিখতেও হবে বারবার। মানুষের ব্রেইন ক্ষণস্থায়ী স্মৃতি গুলোকে ঠিক তখনই দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতিতে পরিণত করে যখন সেটা বার বার ইনপুট দেয়া হয়।

একই জিনিস বারবার ইনপুট দেওয়ার ফলে ব্রেইণ তার স্মৃতি গঠনের স্থানে একটি গাঠনিক পরিবর্তন আনে, যা দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি তৈরীতে সাহায্য করে। সুতরাং পড়া মনে রাখার অন্যতম উপায় হলো বেশি বেশি পড়া ও অনুশীলন করা।

৫। পড়ার জন্য সঠিক সময় নির্বাচন

প্রায় অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীর ধারণা সারাদিন-সারারাত পড়লেই পড়া বেশি মনে থাকে। এটা নিতান্তই একটা ভুল ধারণা। এর কারণ হলো সবসময় আমাদের ব্রেইন একইভাবে কাজ করতে সক্ষম হয় না। তবে পড়ার জন্য একটা রুটিন বানানো উচিৎ ।

অবশেষে বলবো পড়াশনাটা আপনাকেই করতে হবে তাই আপনার সময় মতো পড়াশনার রুটিন বানিয়ে পড়াশনা শুরু করুন, সময় খুবই কম । যত তাড়াতাড়ি আপনি পড়াশনা শুরু করবেন তত এগিয়ে থাকবেন।

“মনে রাখবেন “সময় একটি শব্দ মাত্র যেটি চলে গেলে কখনই ফিরে আসে না ।

And Your Time Start NOW ! ”

…………………………………………………………………………………………………………..

CONTACT // WHATSD APP – 8479091027

message me : https://wa.me/918479091027

EMAIL. malymaity94@gmail.com

CHECK OUT THE PLATFORM:

TO VISIT MY BLOG LINK :https://mminstitution.blogspot.com/

👉 👉 Subscribe MY YouTube Channel :- http://www.youtube.com/c/MMINSTITUTIO…

👉 👉 Join 📚 MM INSTITUTION📚 FACEBOOK Group 2️⃣ :-

https://www.facebook.com/groups/20444…

👉👉join my telegram group: